জমজমাট লড়াইয়ে জিতে ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে কলকাতা
চলতি বছর শ্রীলঙ্কার মাটিতে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জেতানোর পর
থেকেই চর্চায় ছিলেন দীনেশ কার্তিক। তারপরই গৌতম গম্ভীরের ছেড়ে আসা হটসিটে
গিয়ে বসেন। কিন্তু কেকেআর ভক্তদের মনে দ্বিধা-দন্দের মেঘ তখনো কাটছিল না।
এত বড় দায়িত্ব সামলাতে পারবেন তো? ঘুরে ফিরে মনে এই প্রশ্নটাই আসছিল
বারবার। আর সেই সঙ্গে একটি মানুষের উপর বাড়ছিল প্রত্যাশার চাপ। কিন্তু সে
চাপে মেরুদণ্ড নুইয়ে পড়েনি। উলটে মাথায় চেপে বসেছিল নিজেকে প্রমাণ করার
তাগিদ। সেই তাগিদকেই হাতিয়ার করেই মনে মনে হয়তো প্রতিজ্ঞা করেছিলেন
গম্ভীরের মতোই কলকাতার ঘরের ছেলে হয়ে উঠবেন। সেই অগ্নিপরীক্ষায় এখন পর্যন্ত
সফল দীনেশ কার্তিক। আরো একটা জয় উপহার দিলেন তার ভক্তদের। ফাইনালের টিকিট
আর মাত্র একধাপ দূরে। ‘পারবেন তো?’ নাহ, এবার আর এ প্রশ্ন মনে আসছে না
নাইট-সমর্থকদের। এবার তারা আত্মবিশ্বাসী। তাই ভাষাটা বদলে গেছে। ‘পারবেনই
তো।’
তারা পেরেছেন।
ফলাফল :
কলকাতা নাইট রাইডার্স : ১৬৯/৭ (কার্তিক-৫২, রাসেল-৪৯*)
রাজস্থান রয়্যালস : ১৪৪/৪ (রাহানে-৪৬, স্যামসন-৫০)
২৫ রানে জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স।
বুধবার বিকেলে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছিল খবরটা শুনে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আমচকাই বিদায় জানালেন এবি ডিভিলিয়ার্স। কলকাতাবাসীও মুখ গোমরা করে বসেছিল। ইডেনের নাইট শো সেই ক্ষতেই মলম দিয়ে গেল অনেকখানি। যখন শুরুতেই নাইটদের ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নেমেছিল, তখন চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল জ্যাক ক্যালিসের কপালেও। কিন্তু কার্তিক এসেই মনে করিয়ে দিলেন, প্রথম প্লে-অফের মতো এদিনও শুধু বোলারদের দাপটই যে দেখা যাবে, এমন ধারণা ভুল। পিকচার অভি বাকি হ্যায়। দলকে খাদ থেকে তোলার কাজটা শুরু করলেন অধিনায়ক। আর তার হ্যাপি এন্ডিং ঘটালেন আন্দ্রে রাসেল। ছেড়ে কথা বললেন না নাইট বোলাররাও। এবার নয়তো নেভার। এই মনোভাব নিয়েই রাজস্থানকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে দিলেন না চাওলা, কুলদীপরা। ব্যর্থ হল রাহানে-স্যামসনের জোরদার লড়াই। স্পিন অস্ত্রেই বধ হল রয়্যালস। এবারের মতো আইপিএল থেকে বিদায় নিল নির্বাসন থেকে ফিরে আসা দলটি।
মঙ্গলবার হায়দরাবাদ বনাম চেন্নাই ম্যাচের ফল কী হবে, তা আগে থেকে আন্দাজ করা না গেলেও বুধবার প্লে-অফের দ্বিতীয় ম্যাচে যে কেকেআরই জিতবে, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল আট থেকে আশি ভক্তরা। কারণও অবশ্য উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। জস বাটলার এবং বেন স্টোকসের মতো দুজন দুর্দান্ত ক্রিকেটারই রাজস্থানের হয়ে খেলবেন না। তার ওপর টানা তিনটে ম্যাচ জিতে প্লে-অফে পৌঁছেছে নাইটবাহিনী। তাই অবিসংবাদী ফেভরিট তো কার্তিক এবং কোংই। ভক্তদের ভাবনায় আঘাত পড়েনি। ফেভরিট হিসেবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসেও ভোগেনি দল। আর তাই কোনো অঘটনও ঘটেনি। এই জয়ের ফলে ফের শুক্রবারের ইডেন ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করল। হায়দরাবাদকে হারাতে পারলেই আরো একবার ফাইনালের মঞ্চে দেখা যাবে কিং খানের দলকে। যেখানে তাদের অপেক্ষায় রয়েছেন থালাইভা মহেন্দ্র সিং ধোনি।
তারা পেরেছেন।
ফলাফল :
কলকাতা নাইট রাইডার্স : ১৬৯/৭ (কার্তিক-৫২, রাসেল-৪৯*)
রাজস্থান রয়্যালস : ১৪৪/৪ (রাহানে-৪৬, স্যামসন-৫০)
২৫ রানে জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স।
বুধবার বিকেলে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছিল খবরটা শুনে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আমচকাই বিদায় জানালেন এবি ডিভিলিয়ার্স। কলকাতাবাসীও মুখ গোমরা করে বসেছিল। ইডেনের নাইট শো সেই ক্ষতেই মলম দিয়ে গেল অনেকখানি। যখন শুরুতেই নাইটদের ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নেমেছিল, তখন চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল জ্যাক ক্যালিসের কপালেও। কিন্তু কার্তিক এসেই মনে করিয়ে দিলেন, প্রথম প্লে-অফের মতো এদিনও শুধু বোলারদের দাপটই যে দেখা যাবে, এমন ধারণা ভুল। পিকচার অভি বাকি হ্যায়। দলকে খাদ থেকে তোলার কাজটা শুরু করলেন অধিনায়ক। আর তার হ্যাপি এন্ডিং ঘটালেন আন্দ্রে রাসেল। ছেড়ে কথা বললেন না নাইট বোলাররাও। এবার নয়তো নেভার। এই মনোভাব নিয়েই রাজস্থানকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে দিলেন না চাওলা, কুলদীপরা। ব্যর্থ হল রাহানে-স্যামসনের জোরদার লড়াই। স্পিন অস্ত্রেই বধ হল রয়্যালস। এবারের মতো আইপিএল থেকে বিদায় নিল নির্বাসন থেকে ফিরে আসা দলটি।
মঙ্গলবার হায়দরাবাদ বনাম চেন্নাই ম্যাচের ফল কী হবে, তা আগে থেকে আন্দাজ করা না গেলেও বুধবার প্লে-অফের দ্বিতীয় ম্যাচে যে কেকেআরই জিতবে, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল আট থেকে আশি ভক্তরা। কারণও অবশ্য উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। জস বাটলার এবং বেন স্টোকসের মতো দুজন দুর্দান্ত ক্রিকেটারই রাজস্থানের হয়ে খেলবেন না। তার ওপর টানা তিনটে ম্যাচ জিতে প্লে-অফে পৌঁছেছে নাইটবাহিনী। তাই অবিসংবাদী ফেভরিট তো কার্তিক এবং কোংই। ভক্তদের ভাবনায় আঘাত পড়েনি। ফেভরিট হিসেবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসেও ভোগেনি দল। আর তাই কোনো অঘটনও ঘটেনি। এই জয়ের ফলে ফের শুক্রবারের ইডেন ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করল। হায়দরাবাদকে হারাতে পারলেই আরো একবার ফাইনালের মঞ্চে দেখা যাবে কিং খানের দলকে। যেখানে তাদের অপেক্ষায় রয়েছেন থালাইভা মহেন্দ্র সিং ধোনি।
0 comments:
Post a Comment