পাকিস্তানের করাচি নগরে তীব্র তাপদাহে অন্তত ৬৫ জন মারা গেছেন। গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির দাতব্য সংস্থা ইধি ফাউন্ডেশন।
সংস্থাটির প্রধান ফয়সাল ইধির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, গত তিন দিনে করাচির কোরাঙ্গি এবং সোহরাব গোথ এলাকা থেকে তাদের ১১৪ জনের মৃতদেহ তাদের মর্গে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৫ জনই হিটস্ট্রোকে মারা গেছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই লানধি এবং কোরাঙ্গির বাসিন্দা।
তিনি আরও জানান, হিটস্ট্রোকে মৃত ব্যক্তিরা অধিকাংশই তাদের বাড়িতে মারা গেছেন। চলমান এই তাপদাহের শিকার এসব মানুষের বয়স ছয় থেকে ৭৮ বছর।
তাপদাহে আক্রান্ত হওয়ার পর সঠিক সময়ে মেডিকেল সাহায্য না পেয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ফয়সাল ইধি।
তবে সিন্ধুর স্বাস্থ্য সচিব ড. ফজলুল্লাহ পেচুহো ইধি ফাউন্ডেশনের এই দাবিকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, শুধু চিকিৎসক ও হাসপাতাল মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারে। এক্ষেত্রে করাচিতে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর বিষয়টি আমি অস্বীকার করছি।
ড. ফজলুল্লাহ জানান, গত তিনদিনে করাচির কোনো হাসপাতালে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত কোনো রোগী ভর্তি হয়নি।
গত কয়েকদিন ধরে করাচিতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রয়েছে। আগামী ২৩ মে পর্যন্ত এই অবস্থা বজায় থাকবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
গত রোববার পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর করাচিতে তীব্র গরমের জন্য সতর্কতা জারি করে। ওই দিন বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে বাসিন্দাদের হিটস্ট্রোক এড়াতে দিনের বেলা ঘরের ভেতরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন করাচির মেয়র ওয়াসিম আখতার।
তিনি আরও জানান, হিটস্ট্রোকে মৃত ব্যক্তিরা অধিকাংশই তাদের বাড়িতে মারা গেছেন। চলমান এই তাপদাহের শিকার এসব মানুষের বয়স ছয় থেকে ৭৮ বছর।
0 comments:
Post a Comment