ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ (ফাইল ছবি)
ইরানের সরকার পরিবর্তন চায় যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মার্কিন
কর্মকর্তারা ‘নিজেদের পছন্দের সরকার বেছে নিতে’ ইরানী জনগণের প্রতি আহ্বান
জানিয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পোম্পেও বলেন, ‘ইরানের জনগণকে নিজেদের জন্য কাঙ্ক্ষিত নেতৃত্ব বাছাই করা উচিত।’
তেহরানের বিরুদ্ধে একটি কঠোর পদক্ষেপের খসড়া প্রস্তুত করার একদিন পর তিনি ইরানের জনগণের প্রতি এ আহ্বান জানালেন।
পোম্পেও সম্প্রতি একই ধরনের মন্তব্য করে আসছেন।
পম্পেও ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার ‘নয়া কৌশলের’ প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তেহরানকে প্রতিহত করার জন্য ইউরোপের সঙ্গে একটি যৌথ অবস্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।
এর আগে তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী অবরোধ আরোপ করা হবে।’ পম্পেও বলেন, নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে চাইলে ইরানকে ১২টি শর্ত মেনে নিতে হবে।
এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া, ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে যখন-তখন পরিদর্শনের অনুমতি প্রদান, ইরাক ও সিরিয়া থেকে ইরানি সেনা প্রত্যাহার করা এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর প্রতি সমর্থন বন্ধ করা।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নারী মুখপাত্র হিদার নোয়ার্ট বলেন, ‘কোনো দেশের সরকারকে পরিবর্তন করা মার্কিন নীতি নয়’। কিন্তু আমরা একথা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই যে, তেহরানে নতুন সরকারের যুগ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে স্বাদরে আমন্ত্রণ জানাবে।
এদিকে, বিবিসি জানিয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সোমবারের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমেরিকা তার পুরনো অভ্যাসেই ফিরেছে। কিন্তু ইরান পরমাণু বিষয়ে সমাধানের খোঁজে অন্য সহযোগীদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। ’
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানিও ইরান ও বিশ্ব সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে সাবেক সিআইএ প্রধান মাইক পম্পেও’র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের চাপের মুখে মার্কিন সরকার ইরানের বিরুদ্ধে এমন কৌশল গ্রহণ করেছে যার অকার্যকারিতা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে।
ইরানের প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শর্তগুলো ‘অর্থহীন’ : রাশিয়া
রাশিয়া বলেছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানকে যে ১২টি শর্ত বেধে দিয়েছেন তা ‘অর্থহীন’ কারণ এসব শর্ত নতুন যেকোনো চুক্তির সম্ভাবনা নষ্ট করে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা- আইএইএ’তে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মিখাইল উলিয়ানোভ এ মন্তব্য করেছেন।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে তেহরানের বিরুদ্ধে ‘ইতিহাসের কঠিনতম নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের হুমকি দেন। পম্পেও বলেন, নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে চাইলে ইরানকে ১২টি শর্ত মেনে নিতে হবে।
এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মিখাইল উলিয়ানোভ মঙ্গলবার ভিয়েনায় বলেন, ‘এগুলো সব অর্থহীন ও বাজে বক্তব্য। এগুলোকে ভিত্তি করে কোনো সমঝোতা অর্জন সম্ভব নয়।’
ইরানকে ইউরেনিয়াম ও প্লুটোনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার যে শর্ত পম্পেও দিয়েছেন তার তীব্র সমালোচনা করে উলিয়ানোভ বলেন, ‘ইরানের যে বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচি চালানোর সার্বভৌম অধিকার রয়েছে সেকথা উপলব্ধি করার যোগ্যতা হারিয়েছে ওয়াশিংটন।’
ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায় ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের পরমাণু সমঝোতা উপলব্ধি করতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। উলিয়ানোভ ইরানের পরমাণু সমঝোতার প্রতি রাশিয়ার পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করে বলেন, মস্কো এ সমঝোতা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে যাবে।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পোম্পেও বলেন, ‘ইরানের জনগণকে নিজেদের জন্য কাঙ্ক্ষিত নেতৃত্ব বাছাই করা উচিত।’
তেহরানের বিরুদ্ধে একটি কঠোর পদক্ষেপের খসড়া প্রস্তুত করার একদিন পর তিনি ইরানের জনগণের প্রতি এ আহ্বান জানালেন।
পোম্পেও সম্প্রতি একই ধরনের মন্তব্য করে আসছেন।
পম্পেও ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার ‘নয়া কৌশলের’ প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তেহরানকে প্রতিহত করার জন্য ইউরোপের সঙ্গে একটি যৌথ অবস্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।
এর আগে তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী অবরোধ আরোপ করা হবে।’ পম্পেও বলেন, নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে চাইলে ইরানকে ১২টি শর্ত মেনে নিতে হবে।
এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া, ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে যখন-তখন পরিদর্শনের অনুমতি প্রদান, ইরাক ও সিরিয়া থেকে ইরানি সেনা প্রত্যাহার করা এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর প্রতি সমর্থন বন্ধ করা।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নারী মুখপাত্র হিদার নোয়ার্ট বলেন, ‘কোনো দেশের সরকারকে পরিবর্তন করা মার্কিন নীতি নয়’। কিন্তু আমরা একথা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই যে, তেহরানে নতুন সরকারের যুগ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে স্বাদরে আমন্ত্রণ জানাবে।
এদিকে, বিবিসি জানিয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সোমবারের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমেরিকা তার পুরনো অভ্যাসেই ফিরেছে। কিন্তু ইরান পরমাণু বিষয়ে সমাধানের খোঁজে অন্য সহযোগীদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। ’
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানিও ইরান ও বিশ্ব সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে সাবেক সিআইএ প্রধান মাইক পম্পেও’র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের চাপের মুখে মার্কিন সরকার ইরানের বিরুদ্ধে এমন কৌশল গ্রহণ করেছে যার অকার্যকারিতা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে।
ইরানের প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শর্তগুলো ‘অর্থহীন’ : রাশিয়া
রাশিয়া বলেছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানকে যে ১২টি শর্ত বেধে দিয়েছেন তা ‘অর্থহীন’ কারণ এসব শর্ত নতুন যেকোনো চুক্তির সম্ভাবনা নষ্ট করে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা- আইএইএ’তে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মিখাইল উলিয়ানোভ এ মন্তব্য করেছেন।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে তেহরানের বিরুদ্ধে ‘ইতিহাসের কঠিনতম নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের হুমকি দেন। পম্পেও বলেন, নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে চাইলে ইরানকে ১২টি শর্ত মেনে নিতে হবে।
এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মিখাইল উলিয়ানোভ মঙ্গলবার ভিয়েনায় বলেন, ‘এগুলো সব অর্থহীন ও বাজে বক্তব্য। এগুলোকে ভিত্তি করে কোনো সমঝোতা অর্জন সম্ভব নয়।’
ইরানকে ইউরেনিয়াম ও প্লুটোনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার যে শর্ত পম্পেও দিয়েছেন তার তীব্র সমালোচনা করে উলিয়ানোভ বলেন, ‘ইরানের যে বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচি চালানোর সার্বভৌম অধিকার রয়েছে সেকথা উপলব্ধি করার যোগ্যতা হারিয়েছে ওয়াশিংটন।’
ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায় ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের পরমাণু সমঝোতা উপলব্ধি করতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। উলিয়ানোভ ইরানের পরমাণু সমঝোতার প্রতি রাশিয়ার পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করে বলেন, মস্কো এ সমঝোতা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে যাবে।
0 comments:
Post a Comment