গত বিশ্বকাপে জার্মানির শিরোপা জয়ের নায়ক
তিনি। কিন্তু এর পর থেকেই বড় কোন মঞ্চে নেই মারিও গোটজের নাম। কিন্তু
ব্রাজিল বিশ্বকাপ ফাইনালের হিরো হঠাত্ অন্তরালে চলে গেলেন কেন?
মারিও গোটজে অসুস্থ। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই
বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। যে রোগের জন্য তার শরীর পর্যাপ্ত
পরিমাণে ফ্যাট, শর্করা ও নিউক্লিক অ্যাসিড উত্পাদন করতে পারছে না। তবে তার
চিকিত্সা শুরু হয়েছে। জার্মান ফুটবলার এখন আগের থেকে সুস্থ।
সেদিন মারাকানা স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার
বিরুদ্ধে গোটজেকে ৯৮ মিনিটে মাঠে নামিয়েছিলেন জার্মান কোচ জোয়াকিম লো।
১১৩ মিনিটে তার একমাত্র গোলে জার্মানি বিশ্বকাপ জেতে। গোটজের তখন মাত্র ২২
বছর বয়স। বিশ্ব ফুটবলের অনেকে সে সময় গোটজেকে দেখে বলেছিলেন, এমন প্রতিভা
একশো বছরে একবার আসে। বিশ্ব ফুটবলে সেই গোটেকজের কার্যত কোনও অস্তিত্ব
এই মুহূর্তে নেই।
গোটজের এই হারিয়ে যাওয়ার পিছনে জার্মান কোচ
জোয়াকিম লো কিছুটা দায়ি করছেন নিজেকে। এক অনুষ্ঠানে গিয়ে লো বলেছেন,
'মাঠে নামানোর আগে ওকে সেদিন বলেছিলাম, যাও তুমি যে লিওনেল মেসির থেক বড়
ফুটবলার সেটা প্রমাণ করে এসো। জানি না, সেই কথাগুলো ওকে সেদিন আমার বলাটা
ঠিক হয়েছিল কিনা। ওই কথাগুলো প্রকাশ্যে বলে তার থেকেও বড় ভুল করেছিলাম।
মাত্র ২২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ ফাইনালে ওরকম গোল করলে যে কোনও ফুটবলারের উপর
প্রত্যাশার পাহাড় চেপে বসে। ওর সঙ্গেও তাই হল। এমনকি, আমার নিজেরও ওর উপর
আগের থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা বেড়ে গেল। ও ভাল পারফর্ম করলেও আমার মনে
হচ্ছিল গোটজে আরও ভাল কিছু করতে পারে। এই প্রত্যাশাটাই ওর বিপদ ডেকে আনল।
জার্মানির হয়ে ৬৩ ম্যাচে ১৭টা গোল করেছেন
গোটজে, কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য জার্মানির ২৭ জনের স্কোয়াডে শেষমেশ
জায়গা হল না তার। কোচ লো জানিয়েছেন, '২০১৭-১৮ মৌসুম গোটজের ছিল না। তাই
আমার ইচ্ছা থাকলেও জাতীয় দলে এখন ওকে রাখতে পারলাম না।" বিশ্বকাপের দল থেকে
ছিটকে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই গোটজের মন খারাপ। তবে ফিরে আসার লড়াই যে
লড়বেন সেটা জানিয়ে রেখেছেন গত বিশ্বকাপের নায়ক।
0 comments:
Post a Comment